টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কানাডার ব্যাটিং নড়বড় করছিল। তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান করেছিল। তবে সেই রান সফল ভাবে ডিফেন্ড করে কানাডা। কম স্কোরিং থ্রিলারেও তারা আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কানাডা প্রথম পয়েন্ট নিশ্চিত করল। বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানকে হারানো আয়ারল্যান্ড কার্যত বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেল।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বার্বাডিয়ান বংশোদ্ভূত নিকোলাস কির্টনের ৩৫ বলে ৪৯ রানের নকটি কানাডাকে অক্সিজেন দিয়েছিল। কির্টনের ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। এছাড়া শ্রেয়স মোভার ৩টি চারের সৌজন্যে ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটিও কানাডাকে ১৩৭ রানে পৌঁছতে সাহায্য করেছিল। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ওপেন করতে নেমে অ্যারন জনসন ১৩ বলে ১৪ এবং নবনীত ধালিওয়াল ১০ বলে ৬ করে সাজঘরে ফিরে যান। তিনে নেমে পারগত সিং ১৪ বলে ১৮ করে আউট হন। চারে নেমে ৯ বলে ৭ করেন দিলপ্রিত বাজওয়া। তবে কির্টন এবং শ্রেয়স পঞ্চম উইকেটে জুটিতে ৭৫ রান না তুললে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হত কানাডার। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যারি ম্যাককার্থি ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। ৩২ রানে ২ উইকেট নেন ক্রেগ ইয়ং। ১টি করে উইকেট নেন গ্যারেথ ডেলানি এবং মার্ক অ্যাডেয়ার।জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউইয়র্কের ২২ গজে আয়ারল্যান্ডও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মাত্র ৫৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। অ্যান্ডি বলবির্নি ১৯ বলে ১৭, অধিনায়ক পল স্টার্লিং ১৭ বলে ৯, লোরকান টাকার ১৫ বলে ১০, হ্যারি টেক্টর ৫ বলে ৭, কার্টিস ক্যাম্ফার ৭ বলে ৪, গ্যারেথ ডেলানি ৭ বলে ৩ করে সাজঘরে ফিরে গেলে মারাত্মক চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তখনই যেন হারের ভ্রুকুটি দেখেছিল তারা। তবে ছয় নম্বরে নেমে জর্জ ডকরেল এবং আট নম্বরে নেমে মার্ক অ্যাডেয়ার কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। যে কারণে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ১২৫ পর্যন্ত গিয়েছিল। ২৪ বলে ৩৪ করেন অ্যাডেয়ার। ডকরেল অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩০ করে। কিন্তু ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ১২৫-ই করতে পারে। যার নিটফল, ভারতের পর কানাডার কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার মুখে আয়ারল্যান্ড।