রিশাদ হোসেন যখন ক্রিজে গেলেন, তখন ৮৩ বলে ৫৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে মাত্র ৪ উইকেট থাকায় কিছুটা চাপে ছিল টাইগাররা। তবে সেই চাপ এক ফুঁৎকারে উড়িয়ে ব্যাট হাতে রিশাদ আবির্ভূত হন রুদ্রমূর্তিতে।
পাল্টা আক্রমণে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটিয়ে স্রেফ ১৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা। এতে ২৩৬ রান তাড়ায় ৫৮ বল হাতে রেখেই শেষ হাসি হাসে স্বাগতিকরা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আগে বল হাতে ১ উইকেট নেন রিশাদ। সব মিলিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
'খ্যাপাটে' রিশাদের আগে ৮১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকারের কনকাশন বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়া, মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৩৭ রানে। রিশাদের সঙ্গে তার ২৫ বলের অবিচ্ছিন্ন বিধ্বংসী জুটিতে আসে ৫৯ রান। বলা বাহুল্য, সেখানে সিংহভাগই রিশাদের অবদান।
লঙ্কানদের হয়ে ৪৮ রানে ৪ উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। রিশাদের তাণ্ডব হজম করা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৬৪ রান।