
করাচি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) শুরুর ঠিক আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের ফাইনালে জয় পেয়েছিল নিউজ়িল্যান্ড (PAK vs NZ)। ফের একই মাঠে আবারও মহম্মদ রিজওয়ানদের বিরুদ্ধে জয় পেল মিচেল স্যান্টনারের দল। এক, দুই নয়, ১১ দিনের ব্যবধানে একই মাঠে তৃতীয় বার আয়োজকদের হারাল কিউয়িরা। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬০ রানে জয় পেলেন মিচেল স্যান্টনাররা।
শুরুতে চাপে পড়লেও উইল ইয়ং-এর (Will Young) পরিপক্ক ইনিংস, টম ল্যাথামের (Tom Latham) বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং এবং শেষমেশ গ্লেন ফিলিপ্সের বিধ্বংসী ইনিংসে ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৩২০ রান তুলেছিল নিউজ়িল্যান্ড। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে একদিকে বাবর আজম টিকে থাকলেও, নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানে কোনওসময়ই ঠিকঠাকভাবে জয়ের উদ্দ্যেশে ঝাঁপাতে পারেনি। খুশদিল শাহ আগ্রাসী ইনিংসে অবিশ্বাস্য জয়ের একটা চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে শেষমেশ হতাশাই হাতে লাগে। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর ক্ষুরধার বোলিংয়ে ২৬০ রানেই পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেয় কিউয়িরা।
এদিন শুরুতে নতুন বল হাতে নাসিম শাহ ও আবরার আমেদের অনবদ্য বোলিংয়ে খানিকটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল নিউজ়িল্যান্ড। দেখেশুনেই এগোচ্ছিলেন কিউয়িরা। তবে ড্যারেল মিচেল, কেন উইলিয়ামসনার যেখানে অল্প রানেই সাজঘরে ফেরেন, সেখানে ইয়ংকে কার্যত ভাবলেশহীন দেখায়। তিনি সহজেই এক, দুই রান করে নিয়ে এবং ফাঁকে ফাঁকে বাউন্ডারি মেরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। টম ল্যাথামের সঙ্গে মিলে চতুর্থ উইকেটে ১১৮ রানও যোগ করেন। দেখতে দেখতেই সেঞ্চুরি পার করেন তিনি। আশ্চর্যজনক বিষয় হল রাচিন রবীন্দ্র ফিট থাকলে ইয়ং হয়তো একাদশেই সুযোগ পেতেন না। সেখানে এহেন শতরান দলে তাঁর জায়গা পাকা করার জন্য যথেষ্ট।
ইয়ং ফিরলেও ল্যাথাম আর ফিলিপ্স শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। দুই তারকাই স্পিন খেলতে পটু। ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধেও তাঁরা দ্রুত গতিতে রান তোলেন। শাহিন আফ্রিদিকে ম্যাচে তেমন প্রভাবই ফেলতে পারেননি। শেষমেশ ৩২০ রানে ইনিংস শেষ করে নিউজ়িল্যান্ড। জবাবে বাবর আজম ও শৌদ শাকিল ওপেনিংয়ে নামেন। তবে তিনি রান পাননি। অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানও তিন রানে সাজঘরে ফেরেন। উইলিয়াম ও রগের বাউন্স সামলাতে নাজেহাল দেখায় পাক ব্য়াটারদের। বাবর আজম অর্ধশতরান হাঁকালেও তিনি অনেক বল নেন।
বাবর আজম ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরলে পাকিস্তানের জয়ের আশাও কার্যত শেষই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু খুশদিল হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন। বড় বড় শট হাঁকিয়ে তিনি শেষ চেষ্টা করেন। তবে তাঁকে তেমন সঙ্গ দেওয়ার কেউই ছিল না। শেষমেশ তিনিও ৬৯ রানে ফেরেন। হ্যারিস রউফরা কয়েকটা বড় শট মেরে ২৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করলেও তার বেশি এগোতে পারেনি পাকিস্তান। ও রগ এবং অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার কিউয়িদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন।